Header Ads

VOIP - VOICE OVER INTERNET PROTOCOL

 



VOIP কি?

ইন্টারনেটের ১টি ব্যবহার VOIP. এর অর্থ Voice Over Internet Protocol. এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিফোনের মত কম্পিউটার দিয়ে ১দেশ থেকে আরেক দেশে ফোনে কথা বলা যায়। এত খরচ অনেক কম।

এ VoIP Technology বর্তমানে টেলিযোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। VoIP তে ডেটা নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট বা IP নেটওয়ার্কের মাধ্যমে Real time ভয়েস ডেটা সিগন্যাল আদান-প্রদান করা যায়। ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU) ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে ভয়েস ডেটা পাঠানোর স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে দেয়। বর্তমান ইন্টারনেটের হাই স্পীড ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে ডেটা এবং ভয়েস উভই একই কানেকশনের মাধ্যমে আদান প্রদান করা যায়। VoIP এর মাধ্যমে অনেক কম খরচে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষের সাথে যতক্ষণ ইচ্ছা কথা বলা যাবে।


VOIP এর ব্যবহার:

  1.        Telephone
  2.         FAX
  3.         PABX System
  4.         Door Intercom

VOIP অ্যাপ্লিকেশন:

  1.          Net 2 Phone
  2.          MSN Messenger
  3.          Net Meeting
  4.          Cool Talk
  5.          Skype

·  

ভিওআইপি কি পদ্ধতিতে কাজ করে?

প্রচলিত পদ্ধতির টেলিফোন Public switiched Telephone Network (PSTN) ব্যবস্থায় Circuit switching পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। প্রচলিত পদ্ধতির টেলিফোন পদ্ধতিতে সার্কিট সুইচিং ব্যবহার করা হয়। এতে ফোন লাইন ব্যস্ত থাকলে অন্য ব্যবহারকারীকে লাইন ফ্রি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু VOIP টেলিফোনে এ অসুবিধা দূর করার জন্য Circuit switching-এর পরিবর্তে Packet switching পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। VOIP গেটওয়ে PSTN থেকে প্রাপ্ত ভয়েস ডেটাকে সংকুচিত করে প্যাকেট ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করে। অতপর তা IP নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আদান-প্রদান করে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেট আকারে ডেটা প্রেরণ করা হয় বলে একই সময় একই চ্যানেল ব্যবহার করে একাধিক কল আদান-প্রদান করা যায়। তাই এ পদ্ধতিতে একই সময়ে বেশি কল করা যায়।

বর্তমানে যে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী VOIP টেলিফোনের সুযােগ গ্রহণ করতে পারেন। একটি প্রি-ডেইড ফোন কার্ড কিনে নিতে পারেন কিংবা যাদের ক্রেডিট কার্ড আছে তা ব্যবহার করে অনলাইনে VoIP সার্ভারে এ্যাকাউন্ট খুলে এ সুযােগ গ্রহণ করতে পারেন। বিদেশে বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে স্বল্প মূল্যে কথা বলতে পারেন। VOIP টেকনোলজির মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার, কম্পিউটার থেকে টেলিফোন, টেলিফোন থেকে কম্পিউটার এবং টেলিফোন থেকে টেলিফোনে যােগাযােগ করতে পারবেন। 


VoIP ব্যবহারে সুবিধাসমূহ-

1.       খরচ কম হয় : এটি ব্যবহারে তুলনা মুলকভাবে অনেক কম খরচ হয়। অর্থাৎ, VoIP এর মাধ্যমে টেলি ফোন কল করা অনেকটায় সাশ্রয়ি। আমরা যখন সাধারন সীম কার্ডে দিয়ে অন্যকে কল করি তখন আমাদের সীম কার্ডে ব্যালেন্স তুলতে হয়। আর আমরা জানি যে সীম কার্ডের মাধ্যমে অন্যের কাছে কল করতে কেমন পরিমানে অর্থ ব্যয় হয়। যদি সীম কার্ডে বিশেষ কোন অফার থাকলে তখন আলাদা ব্যাপার। কিন্তু না থাকলে আমাদের অর্থ ব্যয় করতে হয় শুধু ফোন কলের জন্যই। যার ফলে দেখা যায়, বছর শেষে একটা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয় শুধু এই ফোনে কথোপকথনের জন্য। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা VoIP টেলি্যোগাযোগকে আপন করে নিতে পারি। কারণ এটি ব্যবহারে আমাদের আলাদা করে ফোনে কথা বলার জন্য ব্যালেন্স ওঠাতে হয় না।

2.      দেশ-বিদেশ সব জায়গায় সমান অর্থ খরচ হয়: VoIP এর আর একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো, এটির মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কথা বলতে সমান ডাটা খরচ হয়। আমরা যদি সীম কার্ড দেশের অভ্যন্তর ফোন কল করি তবে হয়তো ব্যালেন্স কম খরচ হবে। কিন্তু যখন আমরা দেশের বাহিরে তথা পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে কল করতে যাব তখন অনেক পরিমানে ব্যালেন্স কাটবে। এক্ষেত্রে সেটা নির্ভর করে ঐ দেশের ভ্যাটের উপর। যেমন, আমরা যদি দেশের ভিতরে কল করি তবে বড় জোর ১ টাকা/মিনিট খরচ হবে। আবার, যদি এখান থেকে অ্যামিরিকাতে কল করি তবে কলরেট হবে প্রায় ৩০ টাকা/মিনিট। সেক্ষেত্রে আমরা যদি VoIP এর মাধ্যমে কল করি তবে পৃথিবীর সকল প্রান্তেয় সমান ডাটা খরচ হবে।

3.      ভিডিও কনফারেন্সে অনেক জন একসাথে কথা বলা যায়: সাধারণত আমরা VoIP এর মাধ্যমে অনেক জন একসাথে কথা বলতে পারি। ভিডিও কলে বা ভিডিও কনফারেন্সে আমরা একসাথে অনেককে কথা বলতে পারি। এটি একাধিক লোকের একসাথে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। VoIP ব্যবহার করে ফোন কল করার এটি অন্যতম একটি সুবিধা। 

4.      ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকে না: VoIP এর মাধ্যমে কল করতে আলাদা করে কোন ব্যালেন্স তুলতে হয় না। বিধায় ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ার কোন প্রকার চিন্তা থাকে না। তবে এখানে একটি সমস্যা আছে। যদি আপনি সীম কার্ডে ডাটা তুলে কথা বলেন তবে ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু নিঃস্বন্দেহে এটি ব্যালেন্সের চেয়ে বেশী সাশ্রয়ি। এক্ষেত্রে বিকল্প হলো wifi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলা।

5.      ফোন নম্বর ছাড়ায় বিশ্বের যেকোন দেশে কল করা যায়: এটির মাধ্যমে কল করতে কোন প্রকার ফোন নম্বরের প্রয়োজন পরে না। ফলে কোন প্রকার ফোন নম্বর সেইভ করে রাখার দরকার পরে না। যাতে করে কোন নম্বর ছাড়ায় বিশ্বের যেকোন জায়গায় ফোন করা যায়।


VoIP ব্যবহারে অসুবিধাসমূহ-

1.       নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে: আপনার ইন্টারনেট স্পীড যদি কম হয় তবে VoIP এর মাধ্যমে ফোন কলে একটু সংকোটের মুখোমুখী হতে হবে। অর্থাৎ, অধিক স্পীড যুক্ত ইন্টারনেট কানেকশন একান্ত প্রয়োজন। আপনার ইন্টারনেট যদি মান সম্পূর্ণ হয় তবে আপনি মান সম্পূর্ণ সেবা উপভোগ করতে পারবেন। নয়তো তা অনেকটায় কষ্টসাধ্য হয়ে পরবে।

2.      যেসব এলাকায় ইন্টারনেট দূর্বল সেখানে VoIP এর মাধ্যমে ফোন কল: সাধারনত, বাংলাদেশের গ্রামীন যেসব এলাকা আছে সেসব জায়গায় ইন্টারনেট অনেকটায় দূর্বল। এসব জায়গায় VoIP এর মাধ্যমে ফোন কল ধুস্কর। অর্থাৎ, ভালোভাবে ফোন কথোপকথনই করা যাবে না। কিন্তু, অনেক উন্নত দেশের গ্রামীন এলাকাতেও ইন্টারনেট শক্তিশালী। সেসব জায়গার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।

3.      VoIP ইমার্জেন্সি কলে লোকেশন ট্যাক করে: আপনি যখন কোন বিপদে পরেন তখন আপনাকে ইমার্জেন্সি কল করতে হয়। এটির ক্ষেত্রে VoIP এর মাধ্যমে কল করা একটু ঝামেলাপূর্ণ। কারণ IP এ্যাড্রেস থেকে আসায় এটি আপনার লোকেশন ট্যাক করে। যদিও 99% কলে এই তথ্যের প্রয়োজন হয় না কিন্তু এটি 9 -11 এর মতো জরুরি পরিষেবাগুলির জন্য একটি সমস্যা তৈরি করে।

এছাড়াও VoIP এর আরো কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। কিন্তু এগুলোই মূলত প্রধান সুবিধা-অসুবিধা। আপনি VoIP-র সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে আপনার যা দরকার তা হ’ল একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। এটায় যতেষ্ট আপনার এই VoIP পরিসেবাটি উপভোগ করার জন্য। আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে VoIP সম্পর্কে আপনার মনে একটি স্পষ্ট ধারণা জন্মেছে। আজ এই পর্যন্তই। কথা হবে অন্য আরেক আর্টিকেলে।

------------------------------------END------------------------------------

No comments

Theme images by Matt Vince. Powered by Blogger.